এমদাদ খান রামগড় (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী বুধবার (১৩ মে) রামগড় প্রেসক্লাব পরিদর্শন করেছেন। দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ বন্ধ থাকার পর গত ১০ মে প্রেসক্লাবটি পুনর্জীবিত করার উদ্যোগ নিয়ে তালাবদ্ধ ক্লাবটি খোলা হয়।
পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী ১৯৯৩ সালে প্রেসক্লাব ভবন নির্মাণে নিজের ভুমিকার কথা স্মরণ করে বলেন, ‘রামগড় প্রেসক্লাবের সাথে আমার আবেগ- আত্মার সম্পর্ক জড়িয়ে আছে। তৎকালিন খাগড়াছড়ি স্থানীয় সরকার পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব সমীরণ দেওয়ানের আন্তরিকতা, পরিষদের সদস্য হিসেবে মংপ্রু চৌধুরী, অরুণ চন্দ্র সিংহ, ভূবন মোহন ত্রিপুরাসহ আমাদের ঐকান্তিক প্রচেস্টায ১৯৯৩ সালে প্রেসক্লাব ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছিল। সে সময়ে রামগড় প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যতম প্রবীন সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা সুবোধ বিকাশ ত্রিপুরা, প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মোঃ নিজাম উদ্দিন লাভলু, প্রয়াত সাংবাদিক সমীর দেবনাথের উদ্যোগের ফসল এ প্রেসক্লাব ভবন। দীর্ঘদিন যাবৎ ক্লাবটি বন্ধ থাকাটা অত্যন্ত দুঃখজনক। এতে এখানকার সাংবাদিকরা নিজেরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তেমনি রামগড়বাসিও তাদের প্রাপ্য অধিকার হতে বঞ্চিত হয়েছে।জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘দীর্ঘ বছর পর ক্লাবটি খোলার খবর পেয়ে খুবই ভাল লেগেছে, খুশি হয়েছি।’ নিজেদের দ্বন্দ্ব, বিভেদ ভুলে গিয়ে প্রেসক্লাবটি পুনর্জীবিত করে গণ মানুষের কল্যাণে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি তিনি আহবান জানান।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মংপ্রু চৌধুরী, রামগড় উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ ত্রিপুরা, জেলা আওয়ামীলীগের নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শের আলি ভুইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কাজী নুরুল আলম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী প্রেসক্লাব ভবনটি ঘুরে ঘুরে দেখেন। দীর্ঘদিন তালাবদ্ধ থাকায় জরাজীর্ণ হয়ে পড়া প্রেসক্লাব ভবনের সার্বিক উন্নয়নে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। পরে তিনি করোনা প্রেক্ষিতে স্থানীয় সাংবাদিকদের আর্থিক প্রনোদনা প্রদান করেন।প্রেসক্লাবে আগমনের পর সাংবাদিকরা তাঁকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply